সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সোমবার, স্পষ্টতই GBP/USD পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেট করেছে, কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে এটি মার্কিন ডলারের জন্য কোনো নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে না। ডলারের শক্তিশালী হওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিমালায় সম্পূর্ণ পরিবর্তন প্রয়োজন। কিন্তু কী ধরনের পরিবর্তনের কথা বলা যায়, যখন ট্রাম্পের "কালো তালিকাভুক্ত" ৭৫টি দেশের মধ্যে মাত্র ৩টির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছে? প্রেসিডেন্ট নিজেও বুঝতে পারছেন যে তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, এ কারণেই তিনি "শুল্ক ছাড়ের সময়কাল" ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন এবং পাশাপাশি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর শুল্কও বাড়িয়েছেন। আমাদের মতে, এখন পর্যন্ত বাণিজ্য যুদ্ধে কোনো প্রকার উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত নেই। ট্রাম্প জানেন যে প্রাথমিকভাবে শুল্ক হারগুলো মার্কিন অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু তিনি হয়তো পিছিয়ে আসতে পারছেন না বা সেরকম ইচ্ছা পোষণ করছেন না। আমেরিকার বাণিজ্য অংশীদাররাও বুঝে গেছেন যে এই শুল্কগুলো ট্রাম্পের ব্যক্তিগত স্বার্থে নয় এবং তারা হোয়াইট হাউসের আল্টিমেটাম মানতে আগ্রহী নন।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.3643–1.3652 লেভেল থেকে দুইবার এবং 1.3574–1.3590 লেভেল থেকেও দুইবার রিবাউন্ড করে। প্রথম সেল সিগন্যালটি রাতের বেলা গঠিত হওয়ায় এক্সিকিউশন করাও কঠিন ছিল, তবে বাকি তিনটি সিগন্যাল সহজেই এক্সিকিউট করার উপযোগী ছিল। এই তিনটি ট্রেডই লাভজনক হতে পারত, কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য টার্গেট জোনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ার গত সপ্তাহে তীব্র দরপতনের সম্মুখীন হয়েছিল, কিন্তু এটিই ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের সমাপ্তি ছিল। বাস্তবে, ডলারের মূল্য কেবলমাত্র একদিনের জন্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, যদিও বেশ কয়েকটি মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল উপেক্ষিত হয়েছিল। এটি আমাদের আগের মতোই একই উপসংহারে নিয়ে যায়: যেকোনো পরিস্থিতিতেই ট্রেডাররা ডলার কিনতে আগ্রহী নয়। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণাগুলো এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করলে, ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা খুবই কম।
মঙ্গলবার, আবারও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে, কারণ আজও কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। যদিও এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, তবুও আমরা উল্লেখযোগ্য কোনো দরপতনের প্রত্যাশা করছি না।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার কোনো প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা বক্তব্য নির্ধারিত নেই, তাই পুরো দিনজুড়ে অস্থিরতার মাত্রা কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রেডারদের মনোভাব ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। যদি এমন কিছু ঘটে, তাহলে ডলারের দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।